রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’ এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইরান ২ সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে!

‘অভিবাসী’রাই মন্ত্রিসভায়

স্বদেশ ডেস্ক:

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছেদ নিতে গিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী খোয়াতে হয়েছে ব্রিটিশদের। যুক্তরাজ্য বুধবার থেকে পেয়েছে নতুন প্রধানমন্ত্রী। ‘উগ্র ব্রেক্সিটবাদী’ বরিস জনসন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নেতা হিসেবে নির্বাচিত এবং সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর পরই কাক্সিক্ষতভাবে মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল করেছেন। দেখা গেছে, তার সরকারে প্রধান তিন মন্ত্রীই দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী। এমনকি জনসনেরই জন্ম যুক্তরাজ্যের বাইরে।

বরিস জনসন, প্রধানমন্ত্রী : মা-বাবা ব্রিটিশ হলেও জনসনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ১৯৬৪ সালে। তার বাবা স্ট্যানলি জনসন তখন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির ছাত্র ছিলেন। ব্রিটিশ নাগরিকত্বের বাইরে জন্মসূত্রে তাই মার্কিন নাগরিকত্বও ছিল জনসনের। প্রায় ৫০ বছর পর্যন্ত।

২০১৫ সালে লন্ডনের মেয়র থাকাকালে জনসনের কাছে আয়কর চেয়ে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। তখন তিনি বলেছিলেন-‘কেন দেব? আমি তো পাঁচ বছর বয়স থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে থাকি না।’ এর পরই তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। তেরেসা মের সরকারে জনসন ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা নেওয়ার পর গতকাল তিনি বলেছেন, ‘নতুন সোনালি সময়ে’ প্রবেশ করল যুক্তরাজ্য।

সাজিদ জাভিদ, অর্থমন্ত্রী : রচডেলে জন্ম, ১৯৬৯ সালে। কিন্তু জাভিদের মা-বাবা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তিনি নিজেই বলেছেন, তার বাসচালক বাবা যখন যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন, তখন সঙ্গে ছিলেন মাত্র এক ডলার।

মের সরকারে জাভিদ ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৬ সালের গণভোটে তিনি কিন্তু ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন।

প্রীতি প্যাটেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : জন্ম লন্ডনে, ১৯৭২ সালের ২৯ মার্চ। কিন্তু তার মা-বাবা ভারতীয়। গুজরাট থেকে তারা প্রথমে উগান্ডায় অভিবাসী হন। এর পর সেখান থেকে যান যুক্তরাজ্যে। প্যাটেলের রাজনৈতিক আদর্শ সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ‘লৌহমানবী’ মার্গারেট থ্যাচার।

টরি নেতৃত্ব নির্বাচনে তিনি জনসনের হয়ে প্রচার চালিয়েছেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, একমাত্র জনসনই পারেন টরিকে বাঁচাতে। অত্যন্ত ব্রেক্সিটবাদী এই নেতা আগের সরকারে তিনি আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন। ইসরায়েলি রাজনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের জেরে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়েন।

ডমিনিক রাব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী : জন্ম বাকিংহামশায়ারে, ১৯৭৪ সালে। কিন্তু তার ইহুদি বাবা পিটার রাবের জন্ম ও বেড়ে ওঠা চেকস্লোভাকিয়ায়।

জনসনের মতোই রাব স্পষ্টভাষায় বলে দিয়েছেন, চুক্তি হোক আর না-ই হোক, ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হতে হবে। সাবেক এই আইনজীবী ২০১৫ সালে বিচারমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। কিন্তু পরের বছর মে প্রধানমন্ত্রী হলে তাকে পদচ্যুত করা হয়। গত বছরের জুলাইয়ে ডেভিড ডেভিস পদত্যাগ করলে ব্রেক্সিটমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান রাব। কিন্তু চার মাসের মাথায় আবার পদত্যাগ করেন।

এ ছাড়া বেন ওয়ালেস প্রতিরক্ষামন্ত্রী, লিজ ট্রাস আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী, ম্যাট হ্যানকক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, গেভিন উইলিয়ামসন শিক্ষামন্ত্রী ও নিকি মরগ্যান সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877